তুহিন সারোয়ার, ঢাকা,বাংলাদেশ-
বাংলাদেশের বিদায়ী ২০২৩ সালের শেষ দিন দুই বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে মানবাধিকার পরিস্থিতির উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে মানবাধিকার কমিশন অবশ্য এক্ষেত্রে ‘উন্নতি’ দেখছে ৷ ‘ক্রসফায়ার কমেছে কিন্তু পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে৷ পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের অমানবিক আচরণ বেড়েছে৷ একজন মানুষকে মায়ের জানাযায় নেওয়া হচ্ছে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে ৷ এর চেয়ে অমানবিক আচরণ আর কী হতে পারে? বিদায়ী ২৩ সালে ৪০০ রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৪২ জনের, যা কোনভাবেই কাম্য নয় ৷ ‘‘যেভাবে দলীয় কাউন্সিল হয়,এবারের নির্বাচনও সেভাবেই হচ্ছে৷ একদল নৌকার প্রতীক পেয়েছে, আরেক দল পায়নি৷ যারা প্রতীক পেয়েছে আর যারা পায়নি- তাদের মধ্যে হচ্ছে ইলেকশন৷ উ
ভয় গ্রুপই কিন্তু নেত্রীর প্রতি, দলের প্রতি অবিচল, আস্থাশীল৷ এখানে তো অপজিশন বলে কিছু থাকবে না৷ বেসিক্যালি আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হলে যেটা হতো, সেটা এখন এই ভোটের মাধ্যমে হচ্ছে৷ একদলেরই ভোট৷” ‘‘সবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারের কথা বলা থাকলেও দলীয় প্রার্থীরা পাচ্ছে বিশেষ সুবিধা। সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের নাম-স্বাক্ষর এবং ভোটারের মোবাইল ফোন নম্বরের তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়৷ অন্যদিকে নির্দিষ্ট দল মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা নেই৷ নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণ মূলত তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিরুৎসাহিত করার একটি পন্থা, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রের পরিপন্থি৷” ‘প্রশংসা যদি নেত্রীর হয়, তাহলে নিন্দার ভাগীদার হবেন না কেন?’ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। মানবাধিকারের কথা তুললে সরকার বিরক্ত হচ্ছে। যারা মানবাধিকারের কথা বলছেন, তাদের বৈরিতার জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও মানবাধিকারকর্মীদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব মানবাধিকারের প্রতি সম্মান করা, সুরক্ষা দেওয়া এবং মানবাধিকারবোধ বাস্তবায়ন করা। গত এক বছরে এসব ব্যাপারে রাষ্ট্র মনোযোগী ছিল না। যখনই মানবাধিকারের কথা উঠেছে, তারা আত্মরক্ষামূলক কথা বলেছে।” প্রতিদিন অনিরাপত্তার মধ্যে বাস করতে হয়৷ প্রতিদিন আমার ভাবতে হয় একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার অধিকারগুলো ভোগ করতে পারব কিনা, আমার অধিকারটা আমি খাটাতে পারবো কিনা, তাহলে তো আমি নেতৃত্বকেই প্রশ্ন করব, যিনি নেতৃত্বে আছেন তিনিই তো জবাবদিহি করবেন৷ কারণ সব প্রশংসা হলে তো নেত্রীরই হচ্ছে, সব প্রশংসা যদি নেত্রীর হয়, তাহলে নিন্দার ভাগীদার তিনি হবেন না কেন? দায়দায়িত্বের ভাগীদার তিনি হবেন না কেন?
বাংলাদেশে বিদায়ী বছরের শেষ দিন দুই বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে মানবাধিকার পরিস্থিতির উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে৷ সরকারের মানবাধিকার কমিশন অবশ্য এক্ষেত্রে ‘উন্নতি’ দেখছে৷
‘ক্রসফায়ার কমলেও হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে৷ পাশাপাশি নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের অমানবিক আচরণ বেড়েছে৷ একজন মানুষকে মায়ের জানাযায় নেওয়া হচ্ছে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে৷ এর চেয়ে অমানবিক আচরণ আর কী হতে পারে? বছরজুড়ে মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন ছিল এই প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সাল। শুধু আইন ও সালিশ কেন্দ্র নয়, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনও (এমএসএফ) একই কথা বলছে৷ তারা বলছে, বিদায়ী বছরে ৪০০ রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৪২ জনের, যা কোনভাবেই কাম্য নয়৷
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না বলেছেন, ‘‘যেভাবে দলীয় কাউন্সিল হয়,এবারের নির্বাচনও সেভাবেই হচ্ছে৷ একদল নৌকার প্রতীক পেয়েছে, আরেক দল পায়নি৷ যারা প্রতীক পেয়েছে আর যারা পায়নি- তাদের মধ্যে হচ্ছে ইলেকশন৷ উভয় গ্রুপই কিন্তু নেত্রীর প্রতি, দলের প্রতি অবিচল, আস্থাশীল৷ এখানে তো অপজিশন বলে কিছু থাকবে না৷ বেসিক্যালি আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হলে যেটা হতো, সেটা এখন এই ভোটের মাধ্যমে হচ্ছে৷ একদলেরই ভোট৷”
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩: আইন ও সালিশ কেন্দ্রে (আসক) পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে জেড আই খান পান্না এমন মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে ফারুক ফয়সল বলেন, ‘‘সবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকারের কথা বলা থাকলেও দলীয় প্রার্থীরা পাচ্ছে বিশেষ সুবিধা। সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের নাম-স্বাক্ষর এবং ভোটারের মোবাইল ফোন নম্বরের তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়৷ অন্যদিকে নির্দিষ্ট দল মনোনীত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা নেই৷ নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণ মূলত তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিরুৎসাহিত করার একটি পন্থা, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রের পরিপন্থি৷”
‘প্রশংসা যদি নেত্রীর হয়, তাহলে নিন্দার ভাগীদার হবেন না কেন?’
রোববার একই সময়ে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩: এমএসএফের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ী বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ)। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা।আলাপকালে সুলতানা কামাল বলেন, “দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। মানবাধিকারের কথা তুললে সরকার বিরক্ত হচ্ছে। যারা মানবাধিকারের কথা বলছেন, তাদের বৈরিতার জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও মানবাধিকারকর্মীদের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব মানবাধিকারের প্রতি সম্মান করা, সুরক্ষা দেওয়া এবং মানবাধিকারবোধ বাস্তবায়ন করা। গত এক বছরে এসব ব্যাপারে রাষ্ট্র মনোযোগী ছিল না। যখনই মানবাধিকারের কথা উঠেছে, তারা আত্মরক্ষামূলক কথা বলেছে।”
তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন অনিরাপত্তার মধ্যে বাস করতে হয়৷ প্রতিদিন আমার ভাবতে হয় একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার অধিকারগুলো ভোগ করতে পারব কিনা, আমার অধিকারটা আমি খাটাতে পারবো কিনা, তাহলে তো আমি নেতৃত্বকেই প্রশ্ন করব, যিনি নেতৃত্বে আছেন তিনিই তো জবাবদিহি করবেন৷ কারণ সব প্রশংসা হলে তো নেত্রীরই হচ্ছে, সব প্রশংসা যদি নেত্রীর হয়, তাহলে নিন্দার ভাগীদার তিনি হবেন না কেন? দায়দায়িত্বের ভাগীদার তিনি হবেন না কেন?’’
তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘এতকিছু ঘটে যাচ্ছে মনে হয় সরকার সেটা দেখছে না৷ তাদের মাথার উপর দিয়ে সবকিছু চলে যাচ্ছে৷ মানুষ যে এত কষ্টের মধ্যে জীবন পার করতে বাধ্য হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে, রাস্তাঘাটে অনিরাপত্তা, মানুষ কন্যা সন্তান নিয়ে চিন্তিত থাকে, সংখ্যালঘুরা বারবার বলছে যে আমরা আশঙ্কার মধ্যে বসবাস করছি, পাহাড়িরা এখন পর্যন্ত তাদের অধিকার ফিরে পায়নি৷ নানা জায়গায় নানাভাবে অব্যবস্থাপনা, অনাচার একটা আশঙ্কার জায়গায় মানুষ বসবাস করছে৷ সেই জায়গাটা একজন গণতান্ত্রিক নেত্রীর চোখে পড়বে না কেন?
দুই মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে যা আছে
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে সারা দেশে ৪০০টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় ৪২ জনের প্রাণহানি হয়েছে৷ এসব সহিংসতার ঘটনায় ৪ হাজার ৭৭১ জন আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন৷ চলতি বছরে নির্বাচনি সহিংসতার ১৩৮টি ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছেন৷ এরমধ্যে মুখোশ পরে গুপ্ত হামলার ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন৷ এছাড়া ২০২৩ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ১৫টি ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন৷ এ সময়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অপহরণের অভিযোগ এসেছে ৮৯টি৷ এ বছরে পুলিশ হেফাজতে ১৭ জন, কারা হেফাজতে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ চলতি বছরে অজ্ঞাতনামা ৩৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ৬২টি৷ এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ৬৩ জন৷ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩২ জন৷ তবে এ বছর সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা কমে এসেছে৷ গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৮১, এ বছর তা নেমে এসেছে ৬৩-তে৷
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘নিম্ন আদালতে সাজা দেওয়ার ঘটনা লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে৷ ঢাকায় গত পাঁচ মাসে ৯২ মামলায় সাজা হয়েছে অন্তত এক হাজার ৫১২ জন সরকার বিরোধী নেতা-কর্মীর৷’’
২০২৩ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং অন্তত ছয় হাজার ৯৭৮ জন আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবশেকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে একজন পুলশি সদস্যকে, যা কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে কাম্য নয়। জনগণকে জিম্মি করে বাস-ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা এবং রেল লাইন কেটে নাশকতা সৃষ্টি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হতে পারে না। মানুষকে পুড়িয়ে, জান-মালের ক্ষতি করার যে প্রবণতা তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আমাদের দেশে একটা মানবাধিকার কমিশন রয়েছে, তারা কী বলে সেটা লক্ষ্য রাখবেন৷ বিদেশ থেকে কী বলল, কোথা থেকে কী বলল- তথ্যভিত্তিক কথা অনেক সময়ই আসে না৷ এর আগে ৭৮ জন গুম হয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর পাঠিয়েছিল৷ আমরা দেখেছি এরমধ্যে ২৫ জন বিএনপি রাজনীতি করছে কিংবা কারাগারে আছে, আত্মগোপন করেছে, বিদেশে পালিয়ে আছে। অনেকগুলোকে আমরাই খুঁজতেছি, এগুলো গুম নয়৷ এরা অনেক সময় তথ্যের বাইরে কিছু কথা বলে থাকে৷’’
মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “রাজনৈতিক কিছু সহিংসতা আছে, যেটা কাম্য নয়। পাশাপাশি দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে দেশের মানুষের যে উন্নয়ন হয়েছে সেটা তো মানবাধিকারের পক্ষেই যায়৷ আমরা মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে অনেকগুলো ঘটনার তদন্ত করেছি, আরও করছি৷ অনেকেই ন্যায়বিচার পাচ্ছেন৷ সে কারণে তো আর বলা যাবে না, মানবাধিকার পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে৷ আমরা এটাকে উন্নতি বলেই মনে করি৷”
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘ক্রসফায়ার কমেছে, এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। এটা তো এক ধরনের উন্নতি। তবে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে যাচ্ছে এটাও সত্যি৷ আমি মনে করি, জিনিসপত্রের দাম কমাতে সরকারকে আরও বেশি কাজ করতে হবে৷ মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখাও সরকারের দায়িত্ব৷”